বিতর্কের প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ আজকের ভিডিওর আলোচনার বিষয় । বিতর্ক এর নিয়মাবলী সহ ডিবেটের সকল নিয়েমাবলি নিয়ে আমাদের একটি সিরিজ “বিতর্কের সহজ পাঠ [ Simple Lesson In Debate ]” সম্প্রতি প্রকাশিত হচ্ছে।
বিতর্কের প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ
প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ
১। প্রচুর বই পড়তে হবে। গল্প, কবিতা, উপন্যাস, ছোটগল্প, সাই-ফাই, ভৌতিক কাহিনী, গোয়েন্দাগল্প, রহস্য ইত্যাদি। বারোয়ারিতে ভাল করতে চাইলে সব ধরনের ফিকশান পড়ার চেয়ে ভালো কোন, আবারও বলছি কোন বিকল্প নেই। মুভি দেখতে হবে, গান শুনতে হবে।
২। বিতর্কে কোথায় থামতে হয়, সেটা জানা জরুরি। কারন বারোয়ারি বিতর্কে নাটকীয় বিরতি বলে একটা কথা আছে। যেখানে আপনার চুপ হয়ে যাওয়া দরকার, দেয়া দরকার স্বল্প বিরতি, সেখানে আপনি না থামলে পুরো বিষয়টি একঘেয়ে লাগবে। সুতরাং, আপনার গল্পের/ কাহিনীর প্রয়োজনেই আপনাকে থামতে হবে কিংবা, দ্রুত কথা বলতে হবে।
৩। রোমান্টিক কথা বলতে হয় নরমভাবে। বিপ্লব বা বিদ্রোহ আপনি নরম কণ্ঠে ঘোষণা করলে অনুসারী পাবেন না। একইভাবে, চরম ট্র্যাজেডির জায়গায় আপনি হাসি হাসি মুখ করে কৌতুকাভিনেতার মত বিতর্ক করলে সেটিও কাউকে আকর্ষণ করবে না। হিসেব কষে নিন, কোথায়, কোন জায়গায় আপনার সুর তারায় চড়াবেন, আবার গল্পের কোন জায়গায় নিচু স্বরে কথা বলবেন। মনে রাখবেন, কণ্ঠস্বরের সুনিয়ন্ত্রিত ওঠানামা এবং তার প্রয়োগকে বারোয়ারির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
৪। অঙ্গভঙ্গীকে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। অতিরিক্ত লাফঝাঁপ কিংবা বিকট মুখভঙ্গি করলে সেটি মার্কড হয়।
৫। বিতর্কের বিষয় পাবার পর কমপক্ষে ৩ঘন্টা পড়াশুনা করুন। সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মনে মনে একটি গল্প বানান। খাতায় লিখুন। এরপর প্রয়োজনীয় কবিতা বা উক্তি বসান। ধীরে ধীরে সেটি তখন একটি কাঠামো পাবে। বারবার অনুশীলন করুন। খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন আর কি কি করলে আপনার গল্পটি অন্য সবার চেয়ে ব্যতিক্রমধর্মী হবে।
বিতর্কের প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ নিয়ে বিস্তারিত ঃ
আরও দেখুনঃ