সংযোজন ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি বিতর্ক

সংযোজন ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি বিতর্ক সংসদীয় বিতর্ক পরিচিতি [British Parliamentary Debate] আজকের আলোচনার বিষয়।

 

সংযোজন ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি বিতর্ক

 

সংযোজন, ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি / সংসদীয় বিতর্ক পরিচিতি [British Parliamentary Debate] নিয়ে আমরা বেশ কটা ক্লাস করেছি। গুরুকুল অনলাইন লার্নিং নেটওয়ার্ক এর, বিতর্ক চ্যানেল এর, আজকের আয়োজনের বিষয় “ব্রিটিশ সংসদীয় বিতর্ক” বা “ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি বিতর্ক”; ইংরেজিতে যাকে বলে “British Parliamentary Debate” বা “BP Debate। ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি বিতর্ক নিয়ে এই সিরিজটিতে আলোচনা করেছেন মেঘমল্লার বোস। আজকের আলোচনার কেন্দ্র ” সংযোজন “।

 

সংযোজন ব্রিটিশ

 

বিতার্কিক হওয়া খুব কঠিন কিছু না। একটু কৌশল, শ্রম আর অনুশীলনের মাধ্যমে আপনিও হয়ে উঠতে পারবেন তুখোড় একজন বিতার্কিক! বিতর্ক হচ্ছে তর্কের খেলা। একটি নির্ধারিত বিষয়ের পক্ষে-বিপক্ষে নিজের যুক্তি উপস্থাপনের মাধ্যমে নিজের বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠিত করাই বিতর্কের মূল উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমে যুক্তির আয়নার নিজের ভাবনাগুলোকে প্রতিফলিত করা যায়। এর ফলে বাড়ে চিন্তার পরিধি, জ্ঞান আর প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান। একটি বিষয়কে বৃত্তের বাইরে গিয়ে কীভাবে আর কতভাবে ভাবা যায়, তা একজন বিতার্কিকের থেকে ভালো কেউ বলতে পারবে না।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টরি বিতর্ক বেশ জটিল ধরনের। মূলত বিতর্কের ক্ষেত্রে এ ফরম্যাটটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে বিধায় আমাদের দেশে এ ফরম্যাটের সাথে অনেকেই পরিচিত না। তবে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিতর্কের ক্ষেত্রে নিয়মিত চর্চার পাশাপাশি বর্তমানে এ ফরম্যাটটিকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের এই আয়োজন। এ ফরম্যাটটি মূলত ব্রিটেনের সংসদীয় পদ্ধতির অনুসরণে করা। ব্রিটেনের সংসদে যেমন হাউজ অফ লর্ডস আর হাউজ অফ কমন্স নামে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদীয় পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে, একইভাবে এই বিতর্কেও উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ আলাদা আলাদাভাবে থাকে।

সুতরাং, মোট চারটি দল নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টরি বিতর্ক হয়ে থাকে। চারটি দল হচ্ছে সরকারদলীয় উচ্চকক্ষ, বিরোধীদলীয় উচ্চকক্ষ, সরকারদলীয় নিম্নকক্ষ ও বিরোধীদলীয় নিম্নকক্ষ। এদেরকে বিতর্কের প্রচলিত ভাষায় OG (Opening Government), OO (Opening Opposition), CG (Closing Government) ও CO (Closing Opposition) বলা হয়ে থাকে।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টরি বিতর্কের ক্ষেত্রে বক্তারা সাধারণত সাত মিনিট করে সময় পান বক্তব্য দেয়ার জন্যে। তবে এ বিতর্কে কোনো ধরনের যুক্তিখন্ডনের জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ থাকে না বিধায় নির্ধারিত সাত মিনিটের মাঝেই বক্তাদেরকে যুক্তিখন্ডন করতে হয়। পুরো বিতর্কটি একজন স্পিকার পরিচালনা করেন।

 

 

প্রেক্ষাপট নির্মাণ নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

Leave a Comment