বিরোধীদলীয় উচ্চকক্ষ | ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি

বিরোধীদলীয় উচ্চকক্ষ ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি / সংসদীয় বিতর্ক পরিচিতি [British Parliamentary Debate] আজকের আলোচনার বিষয়।

 

বিরোধীদলীয় উচ্চকক্ষ

বিরোধীদলীয় উচ্চকক্ষ সহ ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি / সংসদীয় বিতর্ক পরিচিতি [British Parliamentary Debate] সিরিজে আমরা বেশ কিছু ক্লা করেছি। গুরুকুল অনলাইন লার্নিং নেটওয়ার্ক এর, বিতর্ক চ্যানেল এর, আজকের আয়োজনের বিষয় “ব্রিটিশ সংসদীয় বিতর্ক” বা “ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি বিতর্ক”; ইংরেজিতে যাকে বলে “British Parliamentary Debate” বা “BP Debate। ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি বিতর্ক নিয়ে এই সিরিজটিতে আলোচনা করেছেন মেঘমল্লার বোস। ব্রিটিশ পার্লামেন্টরি বিতর্ক বেশ জটিল ধরনের।

বিপি বিতর্ক বর্তমানে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় এবং বহুল প্রচলিত বিতর্ক ফরম্যাট। ব্রিটিশ পার্লামেন্টারী বিতর্ক স্টাইল প্রাতিষ্ঠানিক বিতর্কের একটি সাধারণ রূপ। এটি যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশগুলোতে সমর্থিত হয়েছে এবং ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিস ডিবেটিং চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিস ডিবেটিং চ্যাম্পিয়নশিপ এর মত প্রতিযোগিতায় এটি অফিসিয়াল স্টাইল হিসেবে গৃহীত হয়েছে।

এ বিতর্কে বক্তব্যের দৈর্ঘ্য পাঁচ থেকে সাত মিনিট। এই স্টাইলের উৎপত্তি ব্রিটিশ পার্লামেন্টারী পদ্ধতি থেকে হবার কারণে দুই পক্ষকে গভর্নমেন্ট (যুক্তরাজ্যে সাধারণত প্রপোজিশন) এবং অপজিশন ডাকা হয়। বক্তাদেরও একইভাবে উপাধি দেয়া হয়।

 

বিরোধীদলীয় উচ্চকক্ষ

 

মূলত বিতর্কের ক্ষেত্রে এ ফরম্যাটটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে বিধায় আমাদের দেশে এ ফরম্যাটের সাথে অনেকেই পরিচিত না। তবে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিতর্কের ক্ষেত্রে নিয়মিত চর্চার পাশাপাশি বর্তমানে এ ফরম্যাটটিকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের এই আয়োজন। এ ফরম্যাটটি মূলত ব্রিটেনের সংসদীয় পদ্ধতির অনুসরণে করা। ব্রিটেনের সংসদে যেমন হাউজ অফ লর্ডস আর হাউজ অফ কমন্স নামে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদীয় পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে, একইভাবে এই বিতর্কেও উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ আলাদা আলাদাভাবে থাকে।

সুতরাং, মোট চারটি দল নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টরি বিতর্ক হয়ে থাকে। চারটি দল হচ্ছে সরকারদলীয় উচ্চকক্ষ, বিরোধীদলীয় উচ্চকক্ষ, সরকারদলীয় নিম্নকক্ষ ও বিরোধীদলীয় নিম্নকক্ষ। এদেরকে বিতর্কের প্রচলিত ভাষায় OG (Opening Government), OO (Opening Opposition), CG (Closing Government) ও CO (Closing Opposition) বলা হয়ে থাকে।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টরি বিতর্কের ক্ষেত্রে বক্তারা সাধারণত সাত মিনিট করে সময় পান বক্তব্য দেয়ার জন্যে। তবে এ বিতর্কে কোনো ধরনের যুক্তিখন্ডনের জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ থাকে না বিধায় নির্ধারিত সাত মিনিটের মাঝেই বক্তাদেরকে যুক্তিখন্ডন করতে হয়। পুরো বিতর্কটি একজন স্পিকার পরিচালনা করেন।

 

বিরোধীদলীয় উচ্চকক্ষ নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

Leave a Comment