সংসদীয় বিতর্কের স্পীকার, দায়িত্ব ও ক্ষমতা

আজকের আলোচনার বিষয়ঃ সংসদীয় বিতর্কের স্পীকার, দায়িত্ব ও ক্ষমতা

 

সংসদীয় বিতর্কের স্পীকার, দায়িত্ব ও ক্ষমতা

 

সংসদীয় বিতর্কের স্পীকার, দায়িত্ব ও ক্ষমতা

১. একজন মনোনীত স্পীকার বিতর্কটি পরিচালনা করবেন।

২. স্পীকারের দায়িত্বসমূহ নিম্নরূপঃ

ক. তিনি উত্থাপিত আপত্তিসমূহ বিবেচনা করবেন।

খ. প্রয়োজনে সাময়িক সময়ের জন্য বিতর্ক অধিবেশনের মূলতবি ঘোষণা করবেন।

গ. অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্যাবলী দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করবেন। 

৩. যদি বিচারক সংখ্যা ২-৩ জন হয় সেক্ষেত্রে স্পীকার এবং বিচারকার্য পরিচালনা করতে পারেন তবে এর বেশি বিচারকের উপস্থিতির ক্ষেত্রে স্পীকার শুধুমাত্র বিতর্ক পরিচালনা করবেন।

 

সংসদীয় বিতর্কের স্পীকার, দায়িত্ব ও ক্ষমতা

 

 

৪. বিভিন্ন উত্থাপিত আপত্তি সম্বন্ধে স্পীকারের সিদ্ধান্তই নিরপেক্ষ এবং চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। 

৫. স্পীকার নিজে বিতর্ক শেষে এর মান ও দিক সম্পর্কে সংক্ষেপে বিশ্লেষণ করবেন এবং জুরি বোর্ডের এক বা একাধিক সদস্যকে মূল্যায়ন করার ফ্লোর দেবেন। তবে সমগ্র ব্যাপারটিই নির্ধারিত সময়ের উপর নির্ভর করবে।

৬. স্পীকার কোন বক্তার নির্ধারিত সময় শেষ হবার ১৫ সেকেন্ড পর (যদি বক্তা বক্তব্য চালিয়ে যায়) তাকে একবার সতর্ক করে দেবেন। এর ৫ সেকেন্ডের মাঝে বক্তব্য শেষ না হলে স্পীকার তাকে শেষ বাক্য বলে বসে পড়ার অনুরোধ জানাবেন। 

৭. স্পীকার কোনভাবেই কোন বক্তার বক্তব্যের মাঝে তাকে শুধু ধন্যবাদ দিয়ে বসে পড়তে বলতে পারবেন না ।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

৮. যদি বক্তা তার নির্ধারিত সময়ের পর ১৫ সেকেন্ড এবং স্পীকার কর্তৃক সতর্কিত হবার ৫ সেকেন্ড পরেও বক্তব্য পেশ না করেন তাহলে তার অতিরিক্ত সময় গণনা করা হবে এবং উক্ত সময়ের কোন বক্তৃতাই গ্রহণযোগ্য হবে না এবং মাননীয় স্পীকার সময়রক্ষকের কাছ থেকে অতিরিক্ত সময়ের হিসাব নিয়ে তা স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা জুরি বোর্ডের কাছে পাঠাবেন।

৯. বিতর্ক শুরুর পূর্বে স্পীকারের নিকট বিতর্কের সকল নীতিমালা সরবরাহ হবে এবং স্পীকারের সমগ্র ব্যাপারটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে, যাতে করে বিতর্ক চলাকালীন এর আবহ নষ্ট না হয় ।

১০. স্পীকারের যে কোন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হাউজ এ উপস্থিত বিতার্কিক, দর্শক, স্বেচ্ছাসেবক ও কর্তব্যরত কর্মকর্তাবৃন্দ সকলেই বাধ্য থাকবেন।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment