বিতর্কের শ্রেণীবিভাগ আজকের ভিডিওর আলোচনার বিষয়। বিতর্ক এর নিয়মাবলী সহ ডিবেটের সকল নিয়েমাবলি নিয়ে আমাদের একটি সিরিজ “বিতর্কের সহজ পাঠ [ Simple Lesson In Debate ]” সম্প্রতি প্রকাশিত হচ্ছে।
বিতর্কের শ্রেণীবিভাগ
আমরা অনেকেই বিতর্ক নিয়ে কম-বেশি ধারণা রাখি। বিটিভিতে জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক বা এটিএন বাংলার নিয়মিত বিতর্ক আয়োজন ছায়াসংসদ অনেকেই হয়তো দেখে থাকি। স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনেকেই সরাসরিভাবেই বিতর্কের সাথে সম্পৃক্ত থাকেন। বিতর্ক হচ্ছে যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে নিজের মতামত প্রতিষ্ঠা করা। একটি নির্ধারিত বিষয়ের পক্ষে-বিপক্ষে নিজের যুক্তি উপস্থাপনের মাধ্যমে নিজের বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠিত করাই বিতর্কের মূল উদ্দেশ্য।
বিতর্ক হচ্ছে যুক্তি-তর্কের খেলা। বিতর্কের মাধ্যমে যুক্তির আয়নার নিজের ভাবনাগুলোকে প্রতিফলিত করা যায়। এর ফলে বাড়ে চিন্তার পরিধি, জ্ঞান আর প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান। একটি বিষয়কে বৃত্তের বাইরে গিয়ে কীভাবে আর কতভাবে ভাবা যায়, তা একজন বিতার্কিকের থেকে ভালো কেউ বলতে পারবে না। কিন্তু সব ধরনের বিতর্কই কি একই রকম? বিতর্ক মানেই কি শুধু যুক্তিতর্কে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা? সব বিতর্কেই কি দুটি দল থাকে? নাকি তার অধিক দল নিয়েও বিতর্ক করা যায়? এ প্রশ্নগুলোর উত্তরে আজ আমরা জানবো বিতর্কের নানান প্রকারভেদ।
বিতর্কে সাধারণত প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতামূলক, এই দুই শ্রেণীর বিতর্ক হয়ে থাকে। প্রদর্শনী বিতর্কের মাঝে রম্য বিতর্ক, আঞ্চলিক বিতর্ক, প্ল্যানচ্যাট বিতর্ক, জুটি বিতর্ক আর প্রতিযোগিতামূলক বিতর্কের মাঝে সংসদীয় বিতর্ক, সনাতনী বিতর্ক, বারোয়ারি বিতর্ক ইত্যাদি প্রচলিত রয়েছে। এ ছাড়াও ইংরেজি বিতর্কের ঘরানার মাঝে ব্রিটিশ পার্লামেন্টরি বিতর্ক বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিস ডিবেটিং চ্যাম্পিয়নশিপ বা রাউন্ড রবিনের মতো আন্তর্জাতিক ডিবেট টুর্নামেন্টগুলো মূলত ব্রিটিশ পার্লামেন্টরি ফরম্যাটেই হয়ে থাকে।
বিতর্কের শ্রেণীবিভাগ :
- সনাতনী বিতর্ক
- সংসদীয় বিতর্ক
- ব্রিটিশ পার্লামেন্টরি বিতর্ক
- বারোয়ারি বিতর্ক
- প্রদর্শনী বিতর্ক
বিতর্কের শ্রেণীবিভাগ নিয়ে বিস্তারিত ঃ
আরও দেখুনঃ