আজকের আলোচনার বিষয়ঃ সংসদীয় বিতর্কের বক্তব্যের বৈশিষ্ট্য
সংসদীয় বিতর্কের বক্তব্যের বৈশিষ্ট্য
১. সংসদে প্রত্যেক বক্তার বক্তব্যের কিছু সুনির্ধারিত ও সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক।
২. প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য-
ক. বিষয়বস্তুর পূর্ণ ব্যাখ্যা এবং যদি কোন শব্দ সংজ্ঞার দাবী রাখে তা প্রদান করা।
খ. বিষয়বস্তুর ব্যাখ্যার সাথে সাথে প্রধান প্রধান দলীয় যুক্তিগুলো উপস্থাপন করা এবং দলীয় অবস্থানকে সুদৃঢ় করা।
গ. কোন বিল নিয়ে আলোচনা হলে প্রস্তাবিত আইনের সংশ্লিষ্ট কোন উপধারা থাকলে তা উল্লেখ ও ব্যাখ্যা করা।
ঘ. কোন প্রস্তাবের মাধ্যমে প্রচলিত কোন ব্যবস্থার পরিবর্তন চাইলে এর পরিবর্তে তারা কী চাইছেন এবং কীভাবে চাইছেন তা ব্যাখ্যা করা।
ঙ. সর্বোপরি পরবর্তী বক্তা কী বলেন তা উল্লেখ করা। যাতে শ্রোতাদের কাছে বক্তব্য অসমাপ্ত মনে না হয় তা নিশ্চিত করা।
৩. বিরোধী দলীয় নেতার বক্তব্য-
ক. প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত সংজ্ঞা বা প্রস্তাবের ব্যাখ্যার যদি যৌক্তিক অসংগতি থাকে তবে নিজস্ব ব্যাখ্যা প্রদান করা ।
খ. যদি প্রধানমন্ত্রীর ব্যাখ্যা ও সংজ্ঞার সাথে একমত হয় তবে বিরোধিতার ক্ষেত্র চিহ্নিত করা।
গ. উত্থাপিত প্রস্তাবের/বিলের বিপরীতে Counter Model তুলে ধরা।
ঘ. পরবর্তী বক্তার সম্ভাব্য যুক্তিগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রদান করা।
৪. সরকারি এবং বিরোধী দলের পরবর্তী দুই বক্তার বক্তব্য-
ক. দলীয় নেতার প্রদত্ত সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা অনুযায়ী কথা বলা।
খ. দলীয় নেতার প্রধান প্রধান যুক্তিগুলোকে আবর্তন করে নিজস্ব বক্তব্যকে উপস্থাপন করা।
গ. দলীয় নেতার প্রদত্ত ‘দলীয় অবস্থান’ বা ‘দলীয় কৌশল’ সুদৃঢ় করা।
ঘ. বিপক্ষ দলীয় কিছু কিছু যুক্তি খন্ডন করা।
ঙ. নিজ অবস্থানের সাপেক্ষে যৌক্তিক উদাহরণ প্রদান করা।
চ. উভয় পক্ষের তৃতীয় বক্তাকে সংসদে তার নিজ নিজ দলের বক্তব্যের সারাংশ প্রদান করতে হবে।
৫. যুক্তিখন্ডন পর্বে শুধুমাত্র যুক্তিখন্ডনই করা যাবে তা নয়, স্ট্র্যাটেজিও খন্ডন করা যাবে।
আরও দেখুনঃ